সর্বশেষ :
গোয়াইনঘাটে ছাত্রদল নেতা লিটনের ফাঁসির রায় বাতিল ও মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনকারীদের ‘শহিদ ওয়াসিম ব্রিগেড’ রুখে দিবে: ব্যারিস্টার আবু সায়েম ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের বিষয় স্পষ্ট করল ভারত বিশ্বনাথে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, ৩ দিনের আল্টিমেটাল প্রদান ইতালিতে চাকরির লোভ দেখিয়ে নবীগঞ্জের ১০ যুবককে জাল ভিসা কুশিয়ারার বালু ব্যবসায়ীর প্রতারণার ফাঁদ! আদালতে মামলা তাহিরপুরে চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রি ও মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সাথে জড়িত পুলিশ সদস্য ইকবাল শাল্লায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদকে বিজয়ী ৪ কৃতি শিক্ষার্থী বিশ্বনাথে অপহরণ করে কিশোরীকে ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেফতার সুনামগঞ্জ সদরে রাস্তা নির্মাণের কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ, দুর্ভোগে চরমে
গোয়াহরি বিলে পলো বাওয়া উৎসবে মানুষের ঢল

গোয়াহরি বিলে পলো বাওয়া উৎসবে মানুষের ঢল

তজম্মুল আলী রাজু, বিশ্বনাথ
বেশ চওড়া নীচ। খুবই সরু উপর। মাঝখানটা গোলাকৃতির। বাঁশের ফালি ও বেতের তৈরি বিশেষ এ ঝাঁঁপিই ‘পলো’। তা দিয়ে সম্মিলিত ভাবে মাছ ধরা উৎসবের পুরনো সংস্কৃতির নাম ‘পলো বাওয়া’ উৎসব। প্রতি বছর এ মৌসুমে ঘটা করে উৎসবটি পালিত হয় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায়। উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়াহরি দক্ষিণের বিল বড়বিলে শত শত মানুষ মেতে উঠেন এ উৎসবে। গতকাল বুধবার উৎসবমুখরতায় অনুষ্ঠিত হয় পলো বাওয়া উৎসব।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিলের তীরে পলো আর মাছ ধারার নানা সরঞ্জজাম নিয়ে অপেক্ষমান ছেলে-বুড়োসহ শত শত সৌখিন মানুষ। পুরো বিল জুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। পরে সকাল ১০টায় কমিটির সায় পাওয়া মাত্রই প্রায় পাঁঁচ শতাধিক শিকারি একসাথে ঝাঁঁপিয়ে পড়েন বিলে। শুরু হয় মাছ ধরার প্রতিযোগিতা। আনন্দ-উল্লাসে দুপুর পর্যন্ত চলে পলো বাওয়া। এসময় শিকারীদের কেউ কেউ টান দেন গানে, কেউবা মাছ ধরতে পেয়ে দেন উল্লাসে চিৎকার।

শিকারিদের পলো, উড়াল জাল, লাটি জাল, ঠেলা জালে ধরা পড়তে থাকে বোয়াল, শোল, গজার, ব্রিগেড, চিতল, রুই, কাতলা, কার্প, বাউশসহ নান প্রজাতির মাছ। এ দৃশ্য উপভোগ করতে গ্রামের নারী-শিশু থেকে শুরু করে সকলেই ভিড় করেন বিলের পাড়ে। এবার বিলে মাছের সংখ্যা বেশি। কম বেশি সবাইকে মাছ নিয়ে হাসি মুখে বাড়ি ফিরতে দেখা যায়।
গ্রামবাসি জানান, এটি তাদের দুইশত বছরের পুরো সংস্কৃতি। একে কেন্দ্র করে প্রতি বছর পূর্ব নির্ধারিত সময়ের কিছুদিন আগ থেকেই গ্রাম জুড়ে চলে উৎসবের আমেজ। যার যার মতো পলোসহ মাছ শিকারের নানা সরঞ্জাম সংগ্রহ করে প্রস্তুতি নেন শিকারীরা। উৎসবের দিন সকাল থেকেই শুরু হয় হাঁকডাক ও হইহুল্লোড়। পরে সবাই ছুটেন বিলের পাড়ে। শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি ও শলাপরামর্শ শেষে কমিটির অনুমতি পাওয়া মাত্রই বিলে হুমড়ি খেয়ে পড়েন শিকারীরা। এসময় উৎসব উপভোগ করতে তীরে অবস্থান নেন সকল বয়সি মানুষ। উৎসব করতে দেশে ফেরেন প্রবাসীরাও।

গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী মনোহর খান, মনোয়ার হোসাইন, জানান, কেবল পলো বাওয়া দেখতে এ সপ্তাহে দেশে এসেছেন তারা। উৎসবে যোগ দিতে পেরে খবুই ভালো লাগে।

এ বিষয়ে কথা হলে আয়োজক কমিটির সদস্য ইকবাল হোসাইন বলেন, পলো বাওয়া আমাদের পূর্ব পুরুষের পুরনো সংস্কৃতি। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আমরা এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছি। এ উৎসব আমাদের পুুরো গ্রামবাসির মধ্যে এক অন্যরকম আবেগ-অনুভূতি আর ভালোলাগা কাজ করে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.




© All rights reserved ©ekusheysylhet.com
Design BY DHAKA-HOST-BD
weeefff